টান

পথের শেষ প্রান্তে ইট পাথুরে দেয়াল।

যেখানে দৃষ্টি ও মৃত আত্মর হাতছানি। 

এক গ্লাস বিদীর্ণ কষ্ট  পান করে একাকিনী 

এক কিশোরী, কংক্রিটের আবদ্ধ ঘরে বন্দী। 

সেখানে নেই কোন শুভ্র কাননের পুষ্প ভরা মাঠ,

জোনাকির স্রোত,  তমাল তরু হিজলের সাথে একাকিনী র সন্ধি। 

অচেনা মোহ হৃদয়ের সুগম পথে উঁকি দেয় বারংবার

যেতে চায় কষ্ট বিহীন, কৃত্রিমতা বিবর্জিত  প্রকৃতির সবুজবীথি বিছানায়। 

কতই না স্নিগ্ধতা, আর ভালবাসার সম্মিলন, 

না আছে জীর্নতা না কোন জড়তা,  অশোভনের বিস্ফরণ।

কিশোরীর ক্ষুদ্র হৃদয়ে সবুজের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা 

নিমিষেই মেঠোপথ বেয়ে বনানী বুকে যাওয়া আসা। 

পুকুর পারে ওই পল্লব তলে যেখানে দাদুর কবর

কেউ সেগুলো দেখে না চেয়ে, রাখেনা কোন খবর।

 কিশোরী মনের ছোট্র বাটিতে লোহিত বর্ণের ক্ষত আর চা না।

 সে চায় পাখি ডাকা ভোর,

 নদীর কলকল ধ্বনি, 

 সবুজের বুকে রোদেলা আদর।

 এতেই তার প্রাণের স্পন্দন জাগে,

 ফিরে পায় প্রশান্তি,  হর্ষে দোলা সূর্যস্নান

 মাটির প্রতি মাটির প্রেম প্রকৃতির প্রতি হৃদয়ের টান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

শাহ জালাল Shah Jalal
শাহ জালাল
জীবন শাহ জালাল জীবন বড় একরোখা সাদাসিধা আর জল রঙের মতো ইচ্ছে গুলোকে ওড়াবো নিলে বলবো কথা ডাহুকীর সনে সুপ্ত আছে যত। পুড়বো আমি ঘাসের যাতনায় কাঁদব তারই দুখে হাসব যখন সুয্যি হাসে ভেসে নদীর বুকে। পাখিদের মতো গাইবো আমি নাচবো তাদের সাথেই নীল বেদনা টুটবে তাতে থাকবে না লুকে বুকে।

এই লেখকের আরো লেখা

এই ক্যাটাগরির সর্বাধিক পঠিত

সাম্প্রতিক মন্তব্য