Homeকবিতাধ্রুপদী জড়তা

ধ্রুপদী জড়তা

অন্তহীন দোটানায় পড়ে চলে যাচ্ছি ডিসেম্বরের শহর পেরিয়ে,

তোমার খুব কাছে চলে গেলে হারিয়ে ফেলছি কবিতা,

আর কবিতার পিছু পিছু সন্তর্পণে কয়েক পা এগোলেই বিস্ময়ে আবিষ্কার করছি, তোমার অনাড়ম্বর শূন্যতা! 

কবিতা নিয়ে আমার জন্য আসেনি কোনো জিব্রাইল,

কোনো নির্জন হেরা গুহায়, আমার ওপর নাযিল হয় নাই কোনো পবিত্র ওহি।

জাহেলিয়া যুগের বিপ্লব শেষে আমি মিশে যাইনি মানবস্রোতে, অথবা দেখাইনি মানুষেরে পথ সেই প্রগাঢ় অন্ধকারে।

আমিও বোধহয় কবিতার জন্য নই,

মূলত আমার এ ভ্রমণ তোমার দিকে,

বেদনার বিপরীতে কয়েক কান্তার, কয়েক সাহারা পাড়ি দিয়ে এসে দূরের মরিচীকাকে দেখে ভেবেছিলাম আমি, কবিতার মতো মতো দেখতে এক জলাঙ্গীর কাটাঁবন,

প্রশান্ত, নিস্তরঙ্গ এক হ্রদ যেন, 

মনে হয়েছিল, ডুব দিলেই শরীর থেকে খুলে পড়বে সমস্ত অসুখের গ্লানি,

বাশেঁর ওপর বসে থাকা মাছরাঙা দেখে, শিশুর মতো আনন্দিত হয়ে, ক্লান্ত কণ্ঠে বলেছিলাম, “এইতো এখানেই  প্রশান্তি”

কবিতারে আমি পাই নি,

তোমারেও আমি পাই নি,

জড়ত্বের অভিশাপ নিয়ে ঝুলে আছি তোমার 

সীমানার কাটাঁতারে!

গ্রহণ করেছে মানুষ ক্রুশবিদ্ধ জিশুরেও,

সেজদা করেছে মানুষ আদিম শয়তানের করতলে,

নিজেরই ভূমি থেকে উৎখাত হয়ে অবাঞ্চিত লাশ হয়ে পড়ে আছে ফিলিস্তিনি এক দেবশিশু,

সেই শিশুর হন্তারকও পূজিত হয়েছে মানুষের কাছে,

তবুও কবি রে নেয় নাই কেউ,

কবিতারে নেয় নাই কেউ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

এই লেখকের আরো লেখা

এই ক্যাটাগরির সর্বাধিক পঠিত

সাম্প্রতিক মন্তব্য